স্বদেশ ডেস্ক:
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সারাদেশে পালিত হচ্ছে আরো একটি ঈদ। আজ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদে পশু কোরবানি আর স্বজনদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে কর্মজীবী অসংখ্য মানুষ গ্রামে ফিরেছেন। ঈদের আগের দিন রাতে ও বুধবার সকালে অনেকে যাত্রা করেছেন গ্রামের পথে। কিন্তু মহাসড়কে যানজটের কবলে পড়ে অনেকের ঈদ কাটছে মহাসড়কেই।
কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করার পর ঘরমুখো মানুষ স্রোত আর পশুবাহী অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঈদুল আজহার দিন বুধবার সকালেও কাটেনি সেই যানজট। ফলে ওই সড়কে যাতায়াতকারী যানবহনের চালক ও শ্রমিকসহ যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন ভোগান্তি। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ভোগান্তি অনেক বেশি।
বুধবার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে কালিহাতীর পুংলি পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার অংশে যানজট রয়েছে। এছাড়া ধীরগতি রয়েছে আরো ২০ কিলোমিটারজুড়ে। এ কারণে হাজার হাজার মানুষের ঈদ কাটছে রাস্তায় যানবাহনের মধ্যে।
এর আগে সোমবার রাত থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার সারা দিন ছিল ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট। মহাসড়কের রাবনা, বিক্রমহাটি, রসুলপুর, পৌলি ও এলেঙ্গা এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়। গণপরিবহন চললেও অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে যাতায়াত করছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, মহাসড়কে ভোর থেকে গাড়ির চাপ রয়েছে। বেলা বাড়লে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে পারে।
জেলা পুলিশ বিভাগ সূত্র জানায়, ঈদে যানজট নিরসনে মহাসড়কে ছয় শতাধিক পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছে। এ ছাড়া দুই শতাধিক হাইওয়ে পুলিশ রয়েছে।
পাটুরিয়ায় পারাপারের অপেক্ষায় ৩০০ ট্রাক
এদিকে ঈদের দিন মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাটে তিন শতাধিক ট্রাক নদী পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে ঘাটে বাস বা ছোট গাড়ি নেই বলে জানিয়েছেন ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ।
কয়েক দিনের ঈদযাত্রায় পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ ছিল ব্যাপক। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো: জিল্লুর রহমান জানান, এবারের ঈদযাত্রায় দক্ষিণ অঞ্চলের যাত্রী ও যানবাহন নির্বিঘ্নে নৌপথ পারাপার করা হয়েছে। ফেরিঘাট এলাকায় কোনো যানবাহনকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি।
পটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট বড় ১৬ ফেরি মধ্যে ১৫টি চলাচল করছে। আমানত শাহ নামের বড় আকারের রো রো ফেরিটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভাসমান কারখানায় মেরামতে রয়েছে। সবশেষ ঘাট এলাকায় তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে অপেক্ষায় রয়েছে। দ্রুতই এগুলো পার হতে পারবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।